
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালের ১০ মার্চ। প্রথম সপ্তাহেই এটি ১৫.৫ মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে নেয়। প্রথমে এটিকে এনসি-১৭ রেটিং করা হলেও পরে আর দেয়া হয়। ২০০৬-এর ২০ জুন এর একটি আনরেটেডে ডিভিডি ভার্সন বাজারে ছাড়া হয়। ২০০৭ সালের ২৩ মার্চ মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় পর্ব দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ ২ ।
গল্প
দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ-এর গল্পের শুরুতেই দেখা যায় অদ্ভুত এক প্রাণী -যার নাম প্লুটো (মাইকেল বেইলি স্মিথ) কয়েকজন বিজ্ঞানীকে নির্মমভাবে মেরে ফেলছে। কয়েক বছর পর, ইথেল কার্টার (ক্যাথলিন কুইনল্যান) এবং তার বর বব কার্টার (টেড লেভাইন) ওহিওর ক্লিভল্যান্ড থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোতে যাচ্ছেন। সঙ্গে আছে- তাদের মেয়ে ব্রেন্দা (এমিলি দি র্যাভিন), ছেলে ববি (ড্যান ব্রাইড), বড় মেয়ে লিন (ভিনেসা শ), তার বর ডউগ বুকোউস্কি (অ্যারন স্ট্যানফোর্ড), তাদের বাচ্চা ক্যাথরিন (মেইসি ক্যামিলেরি প্রিজইসি) আর তাদের পোষা কুকুর বিউটি এবং বিস্ট।
![]() |
রটেন টমোটোস-এ এভাবেই দ্য হিলস হ্যাভ আইয়েজ-এর কথা বলেছেন টেড ফ্রাই |
![]() |
দ্য হিলস হ্যাভ আই প্রসঙ্গে জর্জিয়া স্ট্রেইট-এর স্টিভ নিউটন |
ডউগ আর ববি ট্রেইলারে ফিরে এসে লিন এবং ইথেলের মরদেহ পায়। পরের সকালে ডউগ বিস্টকে নিয়ে ক্যাথরিনকে উদ্ধারে বের হয়। পথে সে একটি পরিত্যাক্ত পারমানবিক অস্ত্র পরীক্ষায় ব্যবহৃত একটি গ্রামের খোঁজ পায়। তবে সেখানে তাকে মেরে অজ্ঞান করে দেয় বিগ মামা (ইভানা টারছিট্টো)। এরপর ডউগের যখন জ্ঞান ফেরে সে নিজেকে একটি বরফের বাক্সে খুঁজে পায় যেখানে পড়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষের শরীরের বিচ্ছিন্ন নানা অংশ। এরপর ঐ বাক্স থেকে বেরিয়ে আবারো ক্যাথরিনকে খুঁজতে শুরু করে ডউগ। এ সময় তার সঙ্গে দেখা হয় বিগ ব্রেইনের (দেসমন্ড অ্যাসকিউ)। বিগ ব্রেইন তাকে তাদের গল্প শোনায়। এ সময় আচমকা ডউগকে আক্রমণ করে বসে প্লুটো এবং তাকে প্রায় মেরেই ফেলে। তবে কোনো রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পাল্টা আক্রমন চালিয়ে প্লুটোকে মেরে ফেলে ডউগ।
এবার আচমকা সিস্টকে (গ্রেগরি নিকোটিরো) হামলা করে তাকে মেরে ফেলে ডউগ। একইসময়ে বিগ ব্রেইন তার পক্ষের একজনকে আদেশ দেয় ক্যাথরিনকে মেরে ফেলতে। সঙ্গে সঙ্গেই তার ওপর হামলে পড়ে বিস্ট। আর এতেই প্রাণ হারায় বিগ ব্রেইন। এসময় লিজার্ড একটি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্যাথরিনকে মেরে ফেলার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ক্যাথরিনকে খুঁজতে গিয়ে লিজার্ড দেখে- রুবি তাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে এবং ক্যাথরিনের জায়গায় একটি শুকর রেখে গেছে। লিজার্ড তার পিছু নেয়। ডউগও ক্যাথরিনকে খুঁজতে থাকে। এদিকে ট্রেইলারে এসময় ব্রেন্দা এবং ববি একটি ফাঁদ পেতে পাপা জুপিটারকে মারার পরিকল্পনা করে।
পাহাড়ে রুবি যখন ক্যাথরিনকে ডউগের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায় ঠিক সে সময়ে তাদের উপর হামলে পড়ে লিজার্ড। লিজার্ড আর ডউগ লড়াই শুরু করে। লিজার্ডকে কুপোকাত করে ফেলে ডউগ। কিন্তু যেই ডউগ পেছন ফেরে লিজার্ড তাকে গুলি করতে উদ্যত হয়। তবে রুবি ডউগকে বাচিয়ে দেয়। আর ডউগকে বাঁচাতে গিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে যায় রুবি। তার সাথ পড়ে লিজার্ডও। ট্রেইলারে ততক্ষণে তখন পাপা জুপিটারকেও শেষ করে দিয়ে দিয়েছে ববি আর ব্রেনেদা।
শেষে ববি, ব্রেনেদা, ডউগ, ক্যাথরিন আর বিস্ট যখন এক হয়ে নিজেদের বিজয় উপভোগ করছে তখন দূর থেকে বায়নোকলার দিয়ে কেউ একজন তাদের দেখছে।
অভিনয়
ডউগ বুকোস্কি চরিত্রে অ্যারন স্ট্যানফোর্ড
ব্রেন্দা কার্টার চরিত্রে এমিলি ডি র্যাভিন
ববি কার্টার চরিত্রে ড্যান ব্রিড
লিন-কার্টার বুকোস্কি চরিত্রে ভিনেসা শ
ইথেল কার্টার চরিত্রে ক্যাথলিন কুইনল্যান
'বিগ বব' কার্টার চরিত্রে টেড লিভাইন
পাপা জুপিটার চরিত্রে বিলি ড্র্যাগো
লিজার্ড চরিত্রে রবার্ট জয়
প্লুটো চরিত্রে মাইকেল বেইলি স্মিথ
গুগল চরিত্রে ইজরা বাজিংটন
সিস্ট চরিত্রে গ্রেগরি নিকোটিরো
ফ্রেড চরিত্রে টম বউয়ার
রুবি চরিত্রে লরা অরতিজ
ক্যাথরিন বুকোস্কি চরিত্রে মেইসি ক্যামিলেরি প্রিজইসি
বিগ মামা চরিত্রে ইভানা টারছেট্টো
আক্রান্ত প্রথম ব্যাক্তির চরিত্রে ম্যক্সিম জিফার্ড
ভেনাস চরিত্রে জুডিথ জেন
মার্কারি চরিত্রে অ্যাডাম পেরেল
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি
দ্য হিল্স হ্যাভ আয়েজ একটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র। গোটা বিশ্বের ২,৫২১টি প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পায়। আর মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই এটি এক কোটি ৫৭ লাখ আট হাজার ৫১২ মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে নেয়।
সমালোচকদের দৃষ্টিতে
সমালোচকদের কাছ থেকে দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ-এর বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। রটেন টমেটোসে একে ৫০% রটেন রেটিং দেয়া হয়েছে। আইএমডিবিতে দেয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৪। মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট বলেছেন, ‘এই চলচ্চিত্রটির চরিত্রগুলো ভৌতিক চলচ্চিত্রগুলোর মতো নয়।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘এখানে উচিৎ ছিল হানাহানির চেয়ে চরিত্রগুলোর দিকে বেশি নজর দেয়া।’
সঙ্গীত
দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ-এ সঙ্গীত পরিচালনা করেছে টম্যানড্যাডি।
ইউএস এডিশন
১. লিভ দ্য ব্রোকেন হার্টস- দ্য ফাইনালিস্ট
২. ব্লু আয়েজ ওম্যান- দ্য গো
৩. হাইওয়ে কাইন্ড- মুট ডেভিস
৪. সামারস গনা বি মাই গার্ল- দ্য গো
৫. মোর অ্যান্ড মোর- ওয়েব পিয়ের্সি
৬. দ্য ওয়ালস- ভল্ট
৭. ইন দ্য ভ্যালি অব দ্য সান- বাডি স্টুয়ার্ট
৮. ডেইজি- ওয়্যার্স অন ফায়ার
৯. ক্যালিফোর্নিয়া ড্রিমিং- দ্য মামাজ অ্যান্ড দ্য পাপাজ
১০. ফরবিডেন জোন
১১. গ্যাস হেভেন
১২. আউট হাউজ
১৩. প্রেইং
১৪. বিউটি
১৫. র্যাভেন্স
১৬. ড্যাডি ড্যাডি
১৭. বিস্ট ফাইন্ডস বিউটি
১৮. ট্রেইলার
১৯. আফটারম্যাথ
২০. ইথেল’স ডেথ
২১. নেক্সট মর্নিং
২২. মাইন
২৩. ভিলেজ টেস্ট
২৪. ব্রেকফাস্ট টাইম
২৫. প্লে উইথ আস
২৬. দ্য কুয়েস্ট ১
২৭. দ্য কুয়েস্ট ২
২৮. স্যাক্রিফাইস
২৯. ইটস ওভার?
তথ্যসূত্র
উইকিপিডিয়া
অন্যান্য লিঙ্ক
আইএমডিবিতে দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ
অলমুভিতে দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ
বক্স অফিস মোজোতে দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ
রটেন টমেটোজে দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ
পরিচালকের সাক্ষাৎকার
একনজরে দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ
- পরিচালনা- আলেক্সন্দ্রারে আজা
- প্রযোজনা- ওয়েস ক্র্যাভেন, পিটার লকে, ম্যারিয়েন ম্যাডালিনা ও কডি জুইগ
- চিত্রনাট্য- আলেক্সন্দ্রারে আজা ও গ্রেগরি লেভাসিউর
- মূল- ওয়েস ক্র্যাভেনের দ্য হিলস হ্যাভ আয়েজ
- শ্রেষ্ঠাংশে- অ্যারন স্ট্যানফোর্ড, ক্যাথলিন কুইনল্যান, ভেনেসা শ, এমিলি ডি র্যাভিন, ড্যান বির্ড, রবার্ট জয়, টেড লিভাইন
- সঙ্গীত- টম্যানড্যাডি, ফ্যাঙ্কয়েস-ইউডেস চ্যানফ্রল্ট
- চিত্রগ্রহণ- ম্যাক্সিম আলেকজান্দ্রে
- সম্পাদনা- বাক্সটার
- স্টুডিও- ডিউন এন্টারটেইনমেন্ট মেজর স্টুডিও পার্টনার
- ডিস্ট্রিবিউশন- ফক্স সার্চলাইট পিকচার্স
- মুক্তি- ১০ মার্চ ২০০৬
- ব্যাপ্তি- ১০৭ মিনিট
- ১০৮ মিনিট (আনরেটেড কাট)
- দেশ- যুক্তরাষ্ট্র
- নেসটন
- ভাষা- ইংরেজি
- বাজেট- ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
- বক্স অফিস- $৬৯,৬২৩,৭১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন