
টু বা থ্রি বা তারও নিচের ক্লাসের ছাত্র ছিলাম- এদের সাথে পরিচয়। সমবয়সী কুচোকাচারা মিলে দেখতাম ত্রিরত্নের নানা কাণ্ড-কারখানা।
এরপর বহু বছর আর থ্রি স্টুজেস দেখিনি। কখনসখনও টম অ্যান্ড জেরি দেখেছি কিন্তু ওদের আর দেখিনি।
তখনকার এই থ্রি স্টুজেস ছিল মূলত কয়েকটি শর্ট ফিল্ম। এই শর্ট ফিল্মগুলোর উপর ভিত্তি করেই ২০১২ সালে নির্মিত হয় পূর্ণদৈর্ঘ্য থ্রি স্টুজেস। রঙিন দ্য থ্রি স্টুজেস। আর রঙিন এই থ্রি স্টুজেস দেখে বুঝলাম- আসলেও ওল্ড তো গোল্ডই।
এটার মূল কাহিনীটা মূলত একটা এতিমখানাকে ঘিরে। বন্ধ হতে বসা ওই এতিমখানা বাঁচানোর জন্য মো, ল্যারি আর কার্লির চেষ্টা।
এতিমখানাটা বাঁচাতে বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগাড় করতে মাঠে নামে এরা তিনজন। এরপর পেয়ে যায় একটা খুনের অফার। লেগে যায় সে চেষ্টায়। এখান থেকেই আশপাশ দিয়ে নানা কাহিনীর জন্ম আর অতীতের সাথে সংযোগ।
বহুবছর আগে দেখা থ্রি স্টুজের আবার দেখে সবচেয়ে আশ্চর্য লাগলো তখনও ঠিক যেমন মজা পেয়েছি এখন তার চেয়ে বেশি তো কম না। আর এর গল্পের বর্ণনা করার কিছু নেই। কোনো কথা না বলে সোজা দেখে ফেলতে হবে।
মো, ল্যারি আর কার্লি নিঃসন্দেহে খুবই ভালো তিনজন মানুষ এবং এদের উদ্দেশ্য কোনো সময়ই খারাপ থাকে না তবে আতঙ্কের বিষয় হলো এরা প্রচণ্ড আক্রমনাত্নক; বিশেষ করে নিজেদের প্রতি। এদের হাস্যকর নানা অ্যাকশনের মধ্যে থাকে মাথায় ঠুকঠাক করে মারা, কখনও কখনও দেখা যায় হাঁতুড়ি দিয়ে মারতেও। এতে টুং টাং করে নানা শব্দ হয়। মূলত এইসব কাজ আর নানা বোকামি-আকামি দিয়ে চলতে থাকে থ্রি স্টুজেসের গল্প।
হাসির সিনেমা দেখতে কেউ অপছন্দ করতে পারে বলে মনে হয় না, আর তাই থ্রি স্টুজেস সবার জন্য মাস্ট ওয়াচ একটা ফিল্ম। আর এতো হাসি যেখানে থাকে সেখানে ছোটখাটো টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর দিকে তাকালাম না।
রটেন টমাটোস বা আইএমডিবিতে যদিও থ্রি স্টুজেসের রেকর্ড খুব একটা ভাল না আমি আমার দিক থেকে ১০/১০ দিলাম। রটেনে থ্রি স্টুজেজের অ্যাভারেজ রেটিং ৩.২/৫। আর আইএমডিবিতে তো আরও কম ৫.১/১০। কি প্যারা...মানুষ কি হেসেও খুশি না...
ফেসবুক.....টুইটার....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন